• ২২ আশ্বিন ১৪৩২, রবিবার ১২ অক্টোবর ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

North Bengal,

রাজনীতি

কলকাতায় তৃণমূলের শহিদ দিবস, উত্তরবঙ্গে যুব মোর্চার উত্তরকন্যা অভিযান

একদিকে যখন ধর্মতলায় তৃণমূল কংগ্রেস শহিদ দিবস পালন করছে তখন উত্তরবঙ্গে উত্তরকন্যা অভিযান করছে বিজেপি। এদিন শিলিগুড়িতে উত্তরকন্যা অভিযানে উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি যুব মোর্চার সভাপতি ড. ইন্দ্রনীল খাঁ সহ উত্তরবঙ্গের বিজেপির সাংসদ এবং বিধায়কগণ। এদিন তিনবাত্তি মোড় থেকে সুবিশাল মিছিল শুরু হয়। মিছিল শেষে চুনাভাটি ফুটবল গ্রাউন্ড থেকে শাসক দলের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ধর্মীয় উৎপীড়নের কারণে বাংলাদেশ থেকে যে হিন্দুরা এসেছেন, তাঁরা মোদীজির চোখে শরণার্থী। অনুপ্রবেশকারী নন। এখানে ভারতীয় মুসলিমরা আছেন। আপনাদের কোনও চিন্তা নেই। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি। কিন্তু বাংলাদেশি মুসলিম এবং রোহিঙ্গাদের একজনকেও ভোটার তালিকায় থাকতে দেব না। আগামী বিধানসভা ভোটে তৃণমূলকে পরাস্ত করার হুঁশিয়ারি দিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, চ্যালেঞ্জ করছি ২০২৬-এ প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করব। আমি চ্যালেঞ্জ করছি আপনাকে।বিরোধী দলনেতা বলেন, উত্তরবঙ্গে প্রকৃতি যা যা দিয়েছে, সব লুট করেছে। বালি, পাথর, গাছ কিছুই নেই। পাহাড়ের উপর বঞ্চনা হয়েছে। চা-বাগানের শ্রমিকেরা ঠিকঠাক মজুরি পান না। উত্তরবঙ্গের হাসপাতালগুলিতে নিউরোলজিস্ট নেই। কেন্দ্রীয় সরকার সেখানে এইমস তৈরি করতে চাইলেও রাজ্য সরকার জায়গা দেয় না বলে অভিযোগ তাঁর। বিরোধী দলনেতা এদিন আগামীর কর্মসূচি ঘোষণা করে জানান, আগামী ৪ অগস্ট দলের ৬৫ জন বিধায়ককে নিয়ে কোচবিহারে যাবেন। তখন দলের সব বিধায়ক মিলে উত্তরকন্যাতেও যাবেন বলে জানান তিনি।

জুলাই ২১, ২০২৫
রাজ্য

সপ্তাহের শুরুতেই উত্তরবঙ্গ সফরে মমতা, তুঙ্গে প্রস্তুতি

সোমবার উত্তরবঙ্গ সফরে যাচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সরকারের প্রশাসনিক কাজকর্ম পর্যালোচনা এবং একাধিক উন্নয়ন প্রকল্পের অগ্রগতি খতিয়ে দেখতেই এই সফর বলে প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে।সফরের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়ি পৌঁছবেন। এরপর তিনি দার্জিলিং, কালিম্পং এবং জলপাইগুড়ি জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে অংশ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, মুখ্যমন্ত্রী কিছু প্রকল্পের উদ্বোধন এবং শিলান্যাসও করবেন।এই সফরে সরকারি আধিকারিকদের পাশাপাশি থাকবেন বেশ কয়েকজন মন্ত্রী ও প্রশাসনিক কর্তা। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি কথাও বলবেন এবং তাঁদের অভাব-অভিযোগ শোনার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর।উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগ ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে।রাজনৈতিক মহলের মতে, আসন্ন পঞ্চায়েত বা লোকসভা নির্বাচনকে সামনে রেখেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সফর তাৎপর্যপূর্ণ। সাধারণ মানুষের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন এবং প্রশাসনিক কাজকর্মের গতি বাড়ানোই এই সফরের মূল উদ্দেশ্য বলে মনে করা হচ্ছে।

মে ১৮, ২০২৫
রাজ্য

জরুরি অবতরণ মুখ্যমন্ত্রী মমতার হেলিকপ্টারের, চোট পেলেন কোমর ও পায়ে

সেবকে বায়ুসেনার এয়ারবেসের জরুরি অবতরণ করা হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হেলিকপ্টারের। সূত্রের খবর, হেলিকপ্টার থেকে নামতে গিয়ে পায়ে ও কোমরে চোট পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখান থেকে গাড়িতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে চলে যান মুখ্যমন্ত্রী। তারপর বিশেষ বিমানে কলকাতা রওনা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।ক্রান্তির সভা সেরে মঙ্গলবার দুপুরেই উড়ানে কলকাতায় ফেরার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনেই জলপাইগড়ি থেকে বাগডোগরা বিমানবন্দরে ফেরার জন্য ওড়ে মুখ্যমন্ত্রীর হেলিকপ্টার। কিন্তু, মাঝ আকাশে প্রাকৃতিক দুর্যোগের মধ্যে পড়ে কপ্টারটি। ফলে মুখ্যমন্ত্রীর ওই কপ্টারটিকে জরুরি অবতরণ করানো হয় বায়ুসেনার সেবক এয়ার বেসে। বড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।এদিন দুপুরে জলপাইগুড়ির ক্রান্তিতে পঞ্চায়েতের প্রচার সভা করেন মুখ্যমন্ত্রী। গতকাল সভা করেছেন কোচবিহারে। সেখান থেকেই বাগডোগরা হয়ে উড়ানে কলকাতায় ফেরার কথা ছিল তাঁর। সাধারণত ক্রান্তি থেকে বাগডোগরা কপ্টারে যেতে সময় লাগে ১১ মিনিট। ওড়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই দুর্যোগের মুখে পড়ে কপ্টার। বৈকণ্ঠপুর জঙ্গলের কাছে মাঝ আকাশে প্রবল দুর্যোগের কবলে পড়ে মমতার কপ্টার। বিপদ বুঝে পাইলট ঝুঁকি না নিয়ে সেবক এয়ার বেসের দিকে কপ্টারটি ঘুরিয়ে দেন। সেবক এয়ার বেসেই কপ্টারটিকে জরুরি অবতরণ করা হয়। এর আগে গত বছর উত্তরপ্রদেশ থেকে কলকাতা ফেরার সময়ে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মুখে পড়েছিল মুখ্যমন্ত্রীর উড়ান। কলকাতায় গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর চিকিৎসা হবে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৭, ২০২৩
রাজনীতি

বিজেপি বিধায়ক-সাংসদরা ঘর থেকে বেরতে পারবেন না, বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক অভিষেকের

ডিসেম্বরের মধ্যে চা শ্রমিকদের পিএফ-গ্রাচুইটির সমস্যা না মিটলে বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদদের বাড়ি ঘেরাওয়ের ডাক দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার জলপাইগুড়ির মালবাজারে চা শ্রমিকদের জনসভায় নানা সমস্যা নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। অভিষেক বলেন, উত্তরবঙ্গ নয়, একটাই বঙ্গ, পশ্চিমবঙ্গ। যে কারণে এখানে জড় হয়েছি, আপনাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে। শ্রমিকের স্বার্থে তৃণমূল কংগ্রেস লড়বে, মালিকের স্বার্থে নয়। পিএফ ও গ্রাচুইটি নিয়ে শ্রমিকদের অভিযোগ আছে। এটা কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম দফতরের কাজ। এই দাবির জন্য আন্দোলন করা হবে। এটা শ্রমিকদের হকের টাকা। চা বাগানের মালিকরা যদি পিএফ ও গ্রাচুইটির টাকা জমা না দেয় তাহলে লোকাল থানায় গিয়ে অভিযোগ করবেন। পুলিশ পুলিশের কাজ করবে। তিনি ঘোষণা করেন, ৩ লক্ষ শ্রমিকের হাতে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে আইডি কার্ড তুলে দেওয়া হবে। নরেন্দ্র মোদি বলেন তিনি চা বিক্রি করতেন, কিন্তু চা শ্রমিকদের উন্নতির কথা ভাবেন না তিনি, বলেন অভিষেক।৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে যদি কোনও ফল না মেলে তাহলে বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদদের বাড়ি ঘেরাও করা হবে। দরকারে আমি আসব। ঘোষণা করেন অভিষেক। তিনি বলেন, এঁদের বাড়ি থেকে বের হতে দেবেন না। নিশীথ প্রামানিক, জন বার্লা, জয়ন্ত রায়রা বাড়ি থেকে বেরতে পারবেন না ৩ লক্ষ মানুষ যদি রাস্তায় বের হয়। প্রয়োজনে দাবি আদায়ে ৩ লক্ষ চা শ্রমিক দিল্লি অভিযানে যাবে। বিজেপি শুধু প্রতিশ্রুতি দেয়। পাশাপাশি চা বস্তিগুলিতে পানীয় জলের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন অভিষেক। তিনি বলেন, রাজ্যের মন্ত্রীকে বলব ৭দিনের মধ্যে এখানে আসতে। ঘুরে দেখে পরিকল্পনা প্রস্তুত করতে।

সেপ্টেম্বর ১১, ২০২২
রাজ্য

পাহাড়ের সঙ্গে সম্পর্কের বন্ধনে মুখ্যমন্ত্রীর পরিবার, খুশি মমতা

দার্জিলিং সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরইমধ্যে বুধবার পাহাড়ের জনপ্রিয় কবি ভানু ভক্তের জন্মদিনের এক অনুষ্ঠানে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রী। সেই অনুষ্ঠানে তিনি ফাঁস করেন তাঁর পরিবারের সঙ্গে পাহাড়ের বিশেষ সম্পর্কের কথা। নিজের খুশির কথাও তিনি প্রকাশ্যে জানিয়েছেন।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আপনারা শুনে খুশি হয়ে যাবেন। আমার এক ভাইপোর সঙ্গে কার্শিয়াংয়ের মেয়ের বিয়ে হচ্ছে। সে আমার বাড়িতে যাওয়ার পর তাঁর কাছ থেকে আমি গোর্খা শিখে নেব। সে ডাক্তার, আমার ভাইপো ডাক্তার। এভাবে পাহাড়ের সঙ্গে আমার সম্পর্ক জুড়ে গেল। আমার রাজ্য় সরকারের সঙ্গে পাহাড়ের যেমন ভাল সম্পর্ক। আমার পরিবারের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক। এতে আমি খুব খুশি হয়েছি।

জুলাই ১৩, ২০২২
রাজ্য

'পায়ে হেঁটে, সাইকেলে ঘুরুন, চারচাকা গাড়িতে ঘোরার দরকার নেই,' নেতা-কর্মীদের কড়া হুঁশিয়ারি অভিষেকের

আলিপুরদুয়ারের সভাতে গিয়ে ক্ষমা চাইলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে দলীয় নেতা-কর্মীদের বার্তা দিলেন মানুষের পাশে থাকার। অভিষেক বলেন, রাজনীতি মানে শুধু ভোটের রাজনীতি নয়। ১০০দিনের কর্মসূচি নিতে হবে। মানুষের কথা বলতে এসেছি। আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাইতে এসেছি। নিশ্চিতভাবে আমাদের গাফিলতি ছিল। অপনাদের আস্থা বা ভালবাসা আমাদের দোষেই হারিয়েছি। যে কোনও প্রয়োজনে 7887778877 নম্বরে ফোন করবেন।অভিষেক কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দলের একশ্রেণির নেতাদের। তিনি বলেন, মানুষ ভোট দিতে চায়। কয়েকটা লোকের মুখ দেখে ভোট দেয় না। তাঁদের টিকিট দেওয়া হবে না। জেলার দায়িত্ব মানে কেউ কেটা হয়ে গিয়েছে, সেটা চলবে না। বাইকে করে ঘুরুন, পায়ে হেঁটে ঘুরুন, বড় চারচাকায় ঘোরার দরকার নেই। সাইকেলে ঘুরুন। বিরোধী মনে করে ঘুরুন।এরইমধ্যে বিজেপির মন্ত্রী থেকে বিধায়ক নয়া উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি তুলেছেন। এই নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এদিন অভিষেক জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের অভিধানে আর উত্তরবঙ্গ শব্দটাই থাকবে না{ এমনকী তিনি সাংবাদিকদের কাছেও আবেদন করেছেন উত্তরবঙ্গ না লিখতে। অভিষেক বলেন, কোনও দক্ষিণবঙ্গ নয়, উত্তরবঙ্গ নয়। একটাই বঙ্গ।বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্প নিয়ে বিতর্ক চলছে। একাধিক প্রকল্পে কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ দিচ্ছে না বলে অভিযোগ করে আসছে রাজ্য। অভিষেক বলেন, বাংলার মানুষের প্রকল্প বাংলার নামে হবে না প্রধানমন্ত্রীর নামে হবে? পঞ্চায়েত সমিতির নামে রাস্তা হলে এলাকার নামে হবে না সদস্যর নামে হবে? প্রকল্প প্রধানমন্ত্রীর নামে হবে না বাংলার নামে হবে। মুখ্যমন্ত্রী গ্রাম সড়ক প্রকল্প করতে পারত, করেনি। বাংলার নামে করেছে। তাঁর দাবি, ১০০ দিনের ৯হাজার কোটি টাকা, বাংলার আবাস যোজনা ৮হাজার কোটি টাকা, প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনা ৫হাজার কোটি টাকা আটকে রেখে দিয়েছে কেন্দ্র।

জুলাই ১২, ২০২২
রাজ্য

এবার তৃণমূলের শহিদ দিবস ধর্মতলায়, বিশেষ গুরুত্ব উত্তরবঙ্গকে

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে ও পরের বছরে একুশে জুলাই শহিদ দিবস ভার্চুয়ালি আয়োজন করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ফের ধর্মতলায় শহিদ দিবস পালন করবে ঘাসফুল শিবির। উত্তরবঙ্গের ওপর বিশেষ জোর দিচ্ছে তৃণমূল। দল চাইছে উত্তরবঙ্গ থেকে আরও কর্মী-সমর্থক ওই দিন ধর্মতলায় আসুক।তৃণমূল কংগ্রেসের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, গত ২ বছর করোনা আবহে আমরা এই অনুষ্ঠান করতে পারিনি। যদিও ভার্চুয়ালি মিটিং হয়েছে। কোনও জনসমাগম করা হয়নি। এবার ২১ জুলাই পথ চলায় কর্মীদের দিক নির্দেশ দেবেন মমতা। এই দিনটা আগে আয়োজন করতো যুব কংগ্রেস তারপর তৃণমূল কংগ্রেস।সম্প্রতি দিল্লি গিয়ে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, এবার শহিদ দিবসে আরও বেশি করে সারা দেশ তাকিয়ে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি থেকে আরও বেশি কর্মী-সমর্থকরা উপস্থিত হতে পারেন তার ওপর জোর দিতে হবে। জেলায় জেলায় স্লোগান তুলতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ শুনতে ধর্মতলা চলো। এবার আগের থেকেও রেকর্ড সংখ্যক ভিড় হবে। ভিন রাজ্য থেকেও প্রতিনিধিরা আসবে।এদিন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ২১ জুলাই আয়োজনের প্রস্তুতি বৈঠক হয়। উত্তরবঙ্গে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর ২০২১ বিধানসভা ভোটেও দাঁত ফোটাতে পারেনি তৃণমূল কংগ্রেস। একজন সাংসদও নির্বাচিত হয়নি ঘাসফুল শিবিরের। আলিপুরদুয়ার জেলায় একজন বিধায়কও নেই তৃণমূলের। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২১ জুলাই উত্তরবঙ্গকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছে তৃণমূল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ২১ জুলাই উপলক্ষ্য়ে কেউ যেন চাঁদা না তোলে। তাহলেই কড়া ব্যবস্থা নেবে দল।

জুন ১৭, ২০২২
রাজ্য

তৃণমূল নেতার 'খাইকে পান বেনারসি ওয়ালা' ভাইরাল, উত্তাল সোশাল মিডিয়া, দেখুন ভিডিও

উত্তরবঙ্গের তৃণমূল নেতার উদ্দাম নৃত্য ভাইরাল হতেই তোলপাড় রাজনৈতিক মহল। নাচের সঙ্গে বিকৃত অঙ্গভঙ্গিতে দিলেন দলের স্লোগান। ওই নেতার নাচের দৃশ্য এখন মোবাইলে মোবাইলে ঘুরছে। এই উদ্দাম নৃত্যকে তৃণমূলের অপসংস্কৃতি বলে দাবি করলেন বিজেপি নেতৃত্ব। ভাইরাল ভিডিওর জেরে জলপাইগুড়ির বানারহাটের ব্লক তৃণমূল সভাপতি নয়ন দত্ত এখন খবরের শিরোনামে। এক ভিডিওতেই বাংলাজুড়ে পরিচিতি পেলেন তৃণমূলের নয়ন। যদিও ভাইরাল ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি জনতার কথা।খাইকে পান বানারসি ওয়ালা আবার দয়ালবাবা কলা খাবা এমন সব চটুল হিন্দী-বাংলা গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে উদ্দাম নৃত্য করে ভাইরাল হয়েছেন বানারহাট ব্লকের তৃনমূল কংগ্রেসের সভাপতি নয়ন দত্ত। গানের সঙ্গে সমানে চলছে সিটি। এই এক ভিডিও জলপাইগুড়ি ছাড়িয়ে সারা বাংলায় ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে স্পষ্ট, একটি ঘরে বাবু ঘরানায় ফিরে গিয়েছেন তাঁর অনুগামিদের নিয়ে। পরিস্থিতি অস্বাভাবিক, অপ্রকৃতিস্থ বললেই চলে। বেসামাল হয়ে পড়ে যাচ্ছেন। ঘরের দেওয়াল ধরে বসে পড়ছেন। এর সঙ্গে চলছে জোরদার রাজনৈতিক স্লোগান।তাঁর সঙ্গে তাল মিলিয়ে কোমর দুলিয়েছে ব্লক তৃণমূলের যুবসভাপতি বিমল মাইতিও। সোজা হয়ে দাঁড়াতেই পারছেন না। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গিতে মেতে উঠেছেন তাঁরা। হাততালি দিতে দেখা যাচ্ছে অনুগামীদের। নয়ন দত্তের দাবি, এই ভিডিও অনেক পুরনো। তাঁকে ফাঁসানোর জন্য কেউ সেই ভিডিও নতুন করে ছড়িয়ে দিয়েছে।

এপ্রিল ২৮, ২০২২
রাজ্য

জেলায় জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা, বৃষ্টি হতে পারে পাহাড়ে

গরমের তীব্র দহনে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। কলকাতায় তাপমাত্রা সামান্য কমলেও অস্বস্তি কাটেনি বিন্দুমাত্র। এদিকে রাজ্যের আট জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। এরইমধ্যে গরম এড়াতে ঠান্ডার আমেজ নিতে অনেকেই ছুটছেন দার্জিলিং। ভিড় বেড়েছে সেখানে। আজ, বুধবার পাহাড়ে বৃষ্টির সম্ভাবনাও আছে।সোমবারের তুলনায় মঙ্গলবার কলকাতার তাপমাত্রা একটু কম ছিল। ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্য়দিকে রাজ্যের আট জেলায় তাপপ্রবাহের কারণে বেলা গড়াতেই রাস্তা জনশূণ্য হয়ে যাচ্ছে। জরুরি কাজ না থাকলে কেউ বাইরে বেরাচ্ছেন না। দক্ষিণবঙ্গের অধিকাংশ জেলায় তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রির ওপর। বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পুরুলিয়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মালদায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামিকাল, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এমনই আবহাওয়া থাকবে বলে হাওয়া অফিস জানিয়েছে। শনি ও রবিবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে দক্ষিণবঙ্গে। সোমবার বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়।কলকাতায় তাপপ্রবাহের আবহ রয়েছে। এদিকে আজ, বুধবার থেকে সাউথপয়েন্টে অনলাইন ক্লাস শুরু হবে। চলবে টানা তিন দিন, শুক্রবার পর্যন্ত। রাজ্য শিক্ষাদফতরও জেলাগুলিতে সকালে স্কুল খোলার পরামর্শ দিয়েছে। বেশ কয়েকটি জেলায় সকালে স্কুল চালু করে দিয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে করোনার কারণে দীর্ঘ দিন স্কুল বন্ধ ছিল। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে। তাই একটু দেখে নেওয়া হচ্ছে। তেমন হলে গরমের ছুটি এগিয়ে আনা হবে।

এপ্রিল ২৭, ২০২২
রাজ্য

গাড়ি বিস্ফোরণ সেভকের হেরিটেজ করোনেশন সেতুতে, বিতর্ক চরমে

সেভকের করোনেশন সেতুর উপর গাড়িতে বিস্ফোরণ! বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওই বিস্ফোরণের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশাল মিডিয়ায়। পরে জানা যায়, বিনোদ মেহেরার ছেলে রোহন মেহেরা অভিনিত হিন্দি ওয়েব সিরিজ কালার শ্যুটিংয়ের অংশ ছিল ওই গাড়ি বিস্ফোরণ। প্রথম দিকে ওই ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং হয়েছে তাকদহের ১২ নম্বর কলোনির বাংলোতে। পরে দার্জিলিংয়ের উইন্ডেমেয়ার হোটেল সহ ম্যাল রোডেও শ্যুটিং হয়েছে ওই সিরিজের একাংশের। এদিন ওই ওয়েব সিরিজের শ্যুটিং একশন সিনের অংশ হিসেবে করোনেশন ব্রিজে ওই বিস্ফোরণ করা হয়।প্রশ্ন উঠছে, সেভকের করোনেশন সেতুর হেরিটেজ তকমা রয়েছে। তাছাড়া ব্রিটিশ আমলের ওই ঐতিহাসিক সেভকের সেতু এমনিতেই দুর্বল। কীভাবে পুলিশ প্রশাসন ওই সেতুর উপর শ্যুটিংয়ে বিস্ফোরণ ঘটানোর অনুমতি দিল। প্রশ্ন উঠছে পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে। তবে ওই বিষয়ে মুখখুলতে চাননি দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক এস পুন্নমবলম ও দার্জিলিংয়ের পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বালকর। অভিযোগ উঠেছে, ওই বিস্ফোরণের পর সেতুর একাংশ ক্ষতি হয়েছে। এই সেতুটি ৩১ নম্বর জাতীয় সড়ক এবং ডুয়ার্স সহ শিলিগুড়ির সঙ্গে যোগাযোগের একমাত্র সম্বল। শ্যুটিংয়ের জেরে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। এদিকে প্রশাসনের তরফে ওই বিস্ফোরণের অনুমতি দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। কার্শিয়াংয়ের মহকুমাশাসক এজাজ আহমেদ জানিয়েছেন, তাঁর থেকে কোন অনুমতি নেওয়া হয়নি। পুলিশ দিয়েছে কিনা জানা তিনি জানেন না।ওই বিস্ফোরণের পরই সোচ্চার হয়েছে ডুয়ার্স ফোরাম ফর সোশ্যাল রিফর্মস। সংস্থার সম্পাদক চন্দন রায় কথায়, শ্যুটিং হলেও ওই বিস্ফোরণ করা ঠিক হয়নি। শতাব্দী প্রাচীন ওই সেতু এমনিতেই দুর্বল। আমরা এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রশাসন কেন ওই বিস্ফোরণের অনুমতি দিল। আগামী শনিবার সেভক থানায় ওই ঘটনার প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখাবে ওই সংগঠন।

মার্চ ২৪, ২০২২
নিবন্ধ

আটশ' শতাব্দীতে প্রতিষ্ঠিত কুরুক্ষেত্রযুদ্ধে নিহত কৌরবপক্ষের তেইশতম প্রজন্ম বর্মন বংশের রাজা জল্পেশের শিবমন্দির

আধমাইলটাক লম্বা এক পায়ে চলা পথ-- ধুলায় ধুসর, ভিড়ে ভিড়াক্কার! যাত্রীদের ক্যাঁও ম্যাঁও... ফেরিওয়ালাদের হুল্লোড়... বাচ্চাকাচ্চাদের চ্যাঁ ভ্যাঁ... বাঁশির প্যাঁ পো... মাইকের অমায়িক নির্ঘোষে জয় জয় শিবশঙ্কর কাঁটা লাগে না কঙ্কর... থেকে থেকেই আশেপাশে পিলে চমকানো ব্যোম ভোলে... তবে সব কিছু ছাপিয়ে যেত পথের দুপাশে চট-বস্তা-খড়ের ভুমিশয্যায় সারি সারি বিকলাঙ্গ ভিখারীর আর্তনাদ!বীভৎস ঘা... খসে পড়া আঙ্গুল বা হাত পা... বিকট অঙ্গবিকৃতি... সেই সব ঘা বা হাত পায়ে অনেক সময় লোহার কাঁটা বা বাঁশের কঞ্চি ঢোকানো-- মা বলতো ছোটবেলায় ছেলেধরারা ওদের ধরে নিয়ে গিয়ে হাত-পা ভেঙ্গে, কেটে-পচিয়ে ভিক্ষে করাচ্ছে! চোখে দেখে সহ্য করতে পারতাম না সেই শিশুবয়সে; ফোঁপাতে ফোঁপাতে, কখনো বা ভ্যাঁ ভ্যাঁ করে কাঁদতে কাঁদতে মায়ের হাত ধরে কোনো মতে পেরিয়ে যেতাম সেই পথটুকু!আজ বুঝি, ওরা বেশির ভাগই ছিল কুষ্ঠরোগী-- চিকিৎসাহীণতায় অঙ্গবিকৃতির শিকার! রোগক্লিষ্ট অঙ্গের স্নায়ু শুকিয়ে গিয়ে ব্যথার অনুভূতি চলে যেত, ফলে মানুষের নজর টানতে কাঁটা ঢুকিয়ে বা দগদগে ঘা নিয়ে শুয়ে বসে থাকতে হয়ত খুব বেশি কষ্ট হত না তাদের। তবু জল্পেশ মন্দিরের মহাশিবরাত্রির মেলায় সেই সব ভিখারীরা আমার শৈশবস্মৃতির চিরকালীন দুঃস্বপ্ন হয়ে রয়ে গেছে।জল্পেশের শিবমন্দিরজল্পেশ মন্দির। উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে বিখ্যাত এই শিবমন্দিরের ইতিহাস আজকের নয়। কুরুক্ষেত্রযুদ্ধে নিহত হয়েছিলেন কৌরবপক্ষের মহারথী ভগদত্ত। তাঁর পরের তেইশ প্রজন্ম পেরিয়ে বর্মন বংশের শেষ রাজা জল্পেশ নাকি এই মন্দির রচেন আনুমানিক আটশ শতাব্দীতে। কয়েক শতক পর বখতিয়ার খিলজি-র হাতে ধ্বংস হয়ে যায় সুপ্রাচীন এই শৈবতীর্থ। দ্বাদশ শতাব্দীতে ভুটানের এক রাজা নতুন করে একে গড়ে তুললেও পরে আবার জঙ্গলে ঢাকা পড়ে যায় সব কিছু। ১৫২৪ খ্রীষ্টাব্দে কোচবিহার রাজবংশের বিশ্ব সিংহ আবার গড়ে তোলেন এই দেবস্থান। ১৫৬৩-তে তাঁর ছেলে মহারাজা নারায়ণ, ও ১৬৬৩-তে রাজা প্রাণ নারায়ণ আরো দুবার এর সংস্কার করেন। কোচবিহার রাজবংশের পৃষ্ঠপোষকতায় জল্পেশ মন্দির ফিরে পায় পুরনো গৌরব। কিন্তু গোল বাধলো আবার। রাজা লক্ষ্মীনারায়ণ-এর অভিষেকের সময় রাজছত্র ধরতে অস্বীকার করেন অধীনস্থ বৈকুন্ঠপুর রাজ্যের রাজা মহীদেব রায়্কত, এবং স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তখন থেকে স্থানীয় বৈকুন্ঠপুর-এর রায়্কত-রাই মন্দিরের দেখভাল করতেন। এই বৈকুন্ঠপুর রাজ্যেরই অন্তর্গত ছিল পরবর্তীকালে গড়ে ওঠা জলপাইগুড়ি শহর ও আশপাশের এলাকা। জোরালো ভূমিকম্পে মন্দির ক্ষতিগ্রস্ত হলে ১৮৯৯ সালে রাজা যোগেন্দ্রদেব রায়কতের মহিষী রাণী জগদীশ্বরী দেবী পুনর্নির্মাণ করান বর্তমান মন্দিরটি।জলপাইগুড়ি শহর থেকে তেইশ কি.মি., ময়নাগুড়ি বাইপাস মোড় থেকে মাত্র ছয় কি.মি. দুরে.. জল্পেশ্বর শিবমন্দিরের বহিরঙ্গ রূপটি সাদামাটা, অন্যান্য হিন্দুমন্দিরের থেকে কিছু আলাদা; খানিকটা যেন ইসলামী আদল আছে। ১২৬ ফুট উঁচু, ও ১২০ ফুট চওড়া ধবধবে সাদা মন্দিরের মাথায় বিশেষত্বহীন মূল গম্বুজটিকে ঘিরে চারটি ছোট গম্বুজ। ভিতরে ধাপে ধাপে সিঁড়ি নেমে গেছে গর্ভগৃহে; জলপূর্ণ কুন্ডের মাঝে বিরাজমান অনাদি শিবলিঙ্গ। জুন থেকে অক্টোবর-- ঘোর বর্ষায় তা সম্পূর্ণ ডুবে যায়। বছরে তিনবার উৎসব জল্পেশ-এ-- বৈশাখী, শ্রাবনী, আর মহা-শিবরাত্রি মেলা। সারা বছর ধু ধু মাঠে এলোমেলো বইত উদাসী হাওয়া; পাশ দিয়ে তিরতিরিয়ে বয়ে চলা জরদা নদীর বালি উড়তো হিমালয় ছুঁয়ে আসা উত্তুরে বাতাসে। আর শিবরাত্রির সময় লাখ বারো ভক্তের সমাগমে রমরমিয়ে উঠতো মাইলের পর মাইল ফাঁকা জমি জুড়ে জমে ওঠা মেলা। পনেরো কি.মি. দুরের তিস্তা নদী থেকে জলপূর্ণ ঘট বয়ে এনে অনাদি শিবলিঙ্গের মাথায় ঢেলে দিতেন ভক্তরা। আমার শৈশবে এক পক্ষকাল ধরে চলত সে মেলা। কী না পাওয়া যেত সেখানে! স্বাধীনতার আগে নাকি হাতিও কেনাবেচা হতো; পাশের রাজ্যগুলি, এমনকি নেপাল-ভুটান-পূর্ব বাংলা থেকেও মানুষ আসতেন হাতি কিনতে! এই কদিন বেশিরভাগ বাস নিজের রুট ছেড়ে দিয়ে সামনে বোর্ড ঝোলাতো জল্পেশ মেলা । আন্তর্জাতিক সীমান্তও এসময় হয়ে যেত শিথিল; ভক্তরা আসতেন বাংলাদেশ থেকেও। প্রতি বছর উপোস করে জল্পেশ্বর-র মাথায় জল ঢালতে যেত মা, আর খুব ছোট থেকেই সঙ্গী হতাম আমি। সেই মর্মবিদারী ভিক্ষুককুলের মধ্য দিয়ে যাওয়াটা ছিল বিভীষিকা! ভিড়ের ঠেলায় ছুটতাম ছোটো ছোটো পায়ে... জরদা নদীর কাঠের পুল পেরিয়ে আরো কিছুদুর... মন্দিরের গেটের সামনে দুই হাতির মূর্তি... কারো হাত ধরে ভয়ে ভয়ে দাঁড়িয়ে থাকতাম বাইরে... ভিড়ে ঠাসা সিঁড়ি দিয়ে ধাক্কাধাক্কি করে নেমে যেত মা... শিবলিঙ্গে জল ঢেলে কোনমতে হাত বাড়িয়ে একটু স্পর্শ করা... একবার মনে আছে আস্ত একটা তাজা কলা মা নিয়ে এসেছিল ফুল পাতার স্তূপ হাতড়ে!ভিখারীদের সেই ভয়ানক দৃশ্য এড়াবার উপায় বার ফেলেছিলাম পরের দিকে। মায়ের হাত শক্ত করে ধরে চোখদুটো আধবোজা করে এদিক ওদিক না তাকিয়ে পেরিয়ে যেতাম রাস্তাটুকু। শেষবার গেছিলাম বোধ হয় সপ্তম শ্রেনীতে পড়ার সময়। চলতে চলতে চট-বাঁশ-ত্রিপলের এক ছাউনি দেখেছিলাম পথের ধারে, বোধ হয় পুতুলনাচ বা জাদুর খেলা বা ওই জাতীয় কিছুর আয়োজন। কোনো মানুষ দেখা যাচ্ছিল না সেখানে। ছাউনির সামনে লম্বা বাঁশের মাথায় বাঁধা ছিল মাইক। গরম হাওয়া বইছিল এলোমেলো। তপ্ত শেষ বসন্তে মেলার ভিড়ে নিঃসঙ্গ এক মাইকের নিশ্চুপ প্রতীক্ষা চার দশক পেরিয়ে, কেন জানি না, মনে জেগে আছে আজো!ডঃ সুজন সরকার বর্ধমান।

মার্চ ০১, ২০২২
রাজ্য

সাধারণতন্ত্রদিবস উপলক্ষে বিএসএফ এর ভিডিও বিভ্রান্তি

সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিএসএফ (BSF) এর ভিডিও বার্তা নিয়ে তোলপাড় বাংলা। বিএসএফ-র সাধারণতন্ত্র দিবস উপলক্ষে অফিসিয়াল ভিডিওতে নর্থ বেঙ্গল (North Bengal) বলে একটি রাজ্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। সম্প্রতি সমগ্র পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বাংলা ভাষা রক্ষা-র দাবিতে জোরালো আন্দোলন চলছে। সেই আন্দোলনের মুখ্য সংগঠন বাংলাপক্ষ বিএসএফ-র ভিডিও নিয়ে জোরালো প্রশ্ন তোলে, তাহলে বিএসএফ কি বাংলা ভাগ করতে চায়? তাঁরা বলেন, সে ভিডিওতে নানা ভাষা ব্যবহৃত হলেও কেউ বাংলা ভাষায় কথা বলেনি। অথচ বাংলার বর্ডার বিএসএফের সবচেয়ে বড় এলাকা। সেই কারণে বাংলা পক্ষ-র তরফ থেকে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমিত শাহকে চিঠি দিয়েছে বলে কৌশিক মাইতি জনতার কথাকে জানান। এবং তাঁরা এবিষয়ে সামাজিক মাধ্যম টুইটার-এ প্রচার-ও চালাচ্ছেন হ্যাসট্যাগ- #AntiBengalBSFvideoতাদের সমবেত প্রতিবাদের ঝড়ে পিছু হঠতে বাধ্য হল বিএসএফ, চাপে পড়ে বিএসএফ কতৃপক্খ পুনরায় বাংলা সহ নতুন তিনটে ভাষায় সাধারণতন্ত্র দিবসের শুভেচ্ছা জানালো। এবং শুধুমাত্র বাংলা ভাষার জন্য আলাদা আরও একটা ভিডিও বের করেছে। এটা তাঁদের নৈতিক জয় বলে মনে করছে বাংলা পক্ষ। বাংলা পক্ষের তরফে কৌশিক মাইতি আরও জানান সেই ভিডিও-তে রাজ্যের নাম নর্থ বেঙ্গল (North Bengal) মুছে দিয়ে, রাজ্যের নাম পশ্চিমবঙ্গ-ই (West Bengal) লিখেছে বিএসএফ। তিনি বলেন বিএসএফ চরম প্রতিবাদের সন্মুখে পিছু হঠে ভুল স্বীকার করে নিয়েছে, কারণ বাঙালি জেগে গিয়েছে। বাংলা পক্ষ দাবী তোলে, বিএসএফ কেন বারবার বাংলা ও বাঙালি ইস্যুতে বিতর্কে জড়াচ্ছে? এই ভিডিও বানানোর দায়িত্বে কে ছিল? তাঁকে চিহ্নিত করে তদন্ত শুরু করা হোক। শুধু মাত্র বহুল শুধরে নিলেই শেষ হ্যনা। এর পিছনে কোনও চক্রান্ত আছে কিনা তা খূজে বার করা হোক। বাংলা ভাগের গুরুতর বিষয়কে ইন্ধন দেওয়া বাঙালি কখনই ভালো ভাবে নেবে না। ভবিষ্যতে এমন হলে সমস্ত বাঙালি রাস্তায় নেমে লড়াই করবে।

জানুয়ারি ২৮, ২০২২
রাজ্য

Black Panther: উত্তরবঙ্গে দেখা মিলল বিলুপ্তপ্রায় হিংস্র ব্ল‍্যাক প‍্যান্থারের, পর্যটনে নয়া আকর্ষণ

নিকষ অন্ধকারেও যেন ধরা পড়ছে ক্ষিপ্রতা। জ্বলজ্বল করছে চোখ। টানটান হাটা-চলা। এসব দেখে হাসি ফুটেছে বন দফতরের আধিকারিকদের। উত্তরবঙ্গের ডুয়ার্সের বক্সা জঙ্গলে দেখা মিলেছে ব্ল্যাক প্যান্থার-অর্থাৎ কালো চিতার। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের সংরক্ষিত বনাঞ্চলে বনদপ্তরের বসানো ট্র্যাপ ক্যামেরায় ব্ল্যাক প্যান্থারের ছবি ধরা পড়েছে। এর আগে দিনের আলোয় বক্সার জয়ন্তী থেকে প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার দূরে মহাকাল পাহাড়ে দেখা মিলেছিল এই বিলুপ্তপ্রায় চিতার। এবার ট্র্যাপ ক্যামেরায় হিংস্র এই বন্যপ্রানের দেখা মেলায় বেজায় খুশি প্রকল্পের আধিকারিক ও বনকর্মীরা। সাধারণত বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলে বাঘের দেখা মেলে না। তবে ফের নিজেদের অস্বিত্বের প্রমান দিল মেলানেস্টিক লেপার্ড বা ব্ল্যাকপ্যান্থার। চলতি বছরে মহাকাল পাহাড়ে পর্যটকদের ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল কালো চিতা। এবার ধরা পড়ল ট্রাপ ক্যামেরায়। বন দফতরের আধিকারিকরা মনে করছে, বক্সার দুর্গম এলাকায় কালো চিতাদের বসতি রয়েছে। সংখ্য়ায় একাধিক রয়েছে বলেই তাঁদের ধারনা।বনদফতরের আধিকারিকদের বক্তব্য, এই কালো চিতা সাধারণত চিতা বাঘের তুলনায় অনেক বেশি হিংস্র। রংয়ের কারণে প্রকৃতিগত দিক থেকে এরা দিনের আলোয় সাধারণত প্রকাশ্যে আসতে চায় না। তবে এরা আদতে চিতা বাঘই। বিশেষ জিনগত কারণে এদের শরীরে চিতাবাঘের মতো হলদে ছোপের বদলে রয়েছে নিকষ কালো কালো ছোপ। গাঢ় হলদে-সোনালী চোখ অন্ধকারে আরও বেশি চকচক করে।উত্তরবঙ্গের পাঁচটি সংরক্ষিত জঙ্গল মহানন্দা অভয়ারণ্য, নেওড়াভ্যালি, গরুমারা, জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান এবং বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্প। বনদফতরের তথ্য় অনুযায়ী এই পাঁচ জঙ্গলেই ব্ল্যাকপ্যান্থারদের অস্তিত্ব আছে। তবে বহুবছর ধরে তাদের হদিশ মিলছিল না। অবশেষে বনদফতরের পাতা ট্র্যাপ ক্যামেরায় বক্সা জঙ্গলে দেখা গেল কালো চিতা। ওই এলাকায় নিয়মিত ভাবে ক্লাউডেড লেপার্ড ও এশিয়াটিক ব্ল্যাক বিয়ারের দেখা মিলছিল। এবার সংযোজন হল ব্ল্যাকপ্যান্থারের।

নভেম্বর ১৩, ২০২১
রাজ্য

Weather: নিম্নচাপ কাটলেও ভারী বর্ষণের সতর্কতা! রাজ্যের কোন কোন অংশ ভাসবে জানুন

নিম্নচাপের জেরে একটানা বৃষ্টি চললেও, শুক্রবার বৃষ্টি অনেকটাই কমবে এমনটাই জানান হয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের তরফে৷ তবে দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির পরিমাণ কমলেও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে। এছাড়াও রাজ্যের একাধিক জায়গায় বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। এই মুহূর্তে ঝাড়খণ্ড ও বিহারের উপরে সুস্পষ্ট নিম্নচাপ অবস্থান করছে। শুক্রবার সেটি শক্তি হারিয়ে ফের ঘূর্ণাবর্তে পরিণত হবে। কিন্তু সেটি গতিপথ বদলে গিয়েছে বর্তমানে। শনি ও রবিবারও উত্তরবঙ্গে বৃষ্টি হবে বলে হাওয়া অফিস জানিয়েছে। তবে আবার রবিবার বিকেল থেকেই বৃষ্টির দাপট অনেকটা কমবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। রবিবার কোচবিহার এবং আলিপুরদুয়ার জেলায় ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে,একারণে কমলা সতর্কবার্তা জারি করেছে আবহাওয়া দপ্তর। অন্যদিকে, শনিবার বীরভূম এবং মুর্শিদাবাদে ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। উল্লেখ্য, চলতি মাসে গোটা রাজ্যেই অতিরিক্ত বৃষ্টি হলেও ঘাটতি থেকে গিয়েছে উত্তরে। তাই ঘাটতি পূরণে এবার ভাসবে উত্তরবঙ্গ।আজ কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় আকাশ প্রধানত মেঘলাই থাকবে৷ ছিটেফোঁটা বৃষ্টিরও সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে ১ ডিগ্রি কম। দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৫.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯৮ শতাংশ, ন্যূনতম ৭০ শতাংশ।

অক্টোবর ০১, ২০২১
রাজ্য

Weather: ভ্যাপসা গরম থেকে মুক্তি দিতে আসছে ঝাপিয়ে বৃষ্টি

দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টি না হলেও আজ বজ্রবিদ্যুৎ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এর পাশাপাশি বাড়বে তাপমাত্রা ও অস্বস্তিকর আবহাওয়া। উত্তরবঙ্গে রয়েছে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।ইতিমধ্যেই জারি করা হয়েছে কমলা সতর্কতা। আলিপুর হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, মহানগরের আকাশ আংশিক মেঘলাই থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায়। আজ দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। দিনের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৭.৭ ডিগ্রির আশেপাশে। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বাধিক ৯২ শতাংশ, ন্যূনতম ৬৬ শতাংশ।আরও পড়ুনঃ করোনা নিয়ে সুখবর শোনালেন হু-র প্রধান বিজ্ঞানীআবহাওয়া দপ্তর সূত্রে খবর, মৌসুমী অক্ষরেখা রাজস্থান থেকে গোরক্ষপুর ও পুর্ণিয়া হয়ে অসম পর্যন্ত বিস্তৃত। তার প্রভাবেই উত্তরবঙ্গে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা। ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি হয়েছে দার্জিলিং, কালিম্পং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, মালদা, দুই দিনাজপুরে৷ এছাড়াও, উত্তরাখণ্ডে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। মেঘালয়ে হতে পারে প্রবল বৃষ্টিপাত। এছাড়াও সিকিম, বিহারেও রয়েছে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, শক্তিশালী দক্ষিণা বায়ু কিংবা দক্ষিণ পশ্চিমা বায়ু বঙ্গোপসাগর থেকে যাচ্ছে একেবারে উত্তর-পূর্বে। এই সক্রিয়তা বজায় থাকবে আগামী ২৫ অগস্ট পর্যন্ত।আরও পড়ুনঃ লক্ষীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদনকারী বাংলার মহিলাদের ভিখারি বললেন দিলীপ ঘোষঅন্যদিকে, দক্ষিণবঙ্গে গরম বাড়ছে, বাড়ছে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। আগামী ২৪ ঘণ্টায় বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দু-এক পশলা বৃষ্টি হতে পারে বিক্ষিপ্তভাবে। আকাশ আংশিক মেঘলা থাকবে।বৃহস্পতিবার বৃষ্টি কিছুটা বাড়বে দক্ষিণবঙ্গে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ দু-এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। ভারী বৃষ্টি হবে পশ্চিমের বেশকিছু জেলাতে। বাঁকুড়া, বীরভূম, পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমানের দু-এক পশলা ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা।

আগস্ট ২৫, ২০২১
রাজ্য

Dilip Ghosh: বার্লার পাশে দাঁড়িয়ে সুর বদল দিলীপের

ঘুরপথে হলেও, জন বার্লার পাশে দাঁড়ালেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আলাদা উত্তরবঙ্গ রাজ্যের দাবি অন্যায্য নয় বলে বিতর্কে বাড়ালেন দিলীপ। এমনকী, পৃথক জঙ্গলমহল রাজ্যের দাবিকেও সমর্থনই জানালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। শনিবার জলপাইগুড়িতে দাঁড়িয়েই উত্তরবঙ্গকে আলাদা রাজ্যে করার দাবিতে নিজের সমর্থন জানালেন দিলীপ। সেটাও আবার এই দাবি তুলে বিতর্কে জড়ানো আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার উপস্থিতিতে। বললেন, মানুষের কথা বললেই কি বিচ্ছিন্নতাবাদী বলতে হবে নাকি!আরও পড়ুনঃ মনোজ-সামান্থার সেরা পুরস্কারবার্লা উত্তরবঙ্গকে পৃথক রাজ্য করার দাবি তোলার সময়েও দিলীপ তার বিরোধিতা করেননি। আবার এ ভাবে সমর্থনও জানাননি। তবে সেই দাবি ওঠার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা তৃণমূল সরকারকেই দায়ি করেছেন তিনি। শনিবার দিলীপ বলেন, আজ যদি জঙ্গলমহল এবং উত্তরবঙ্গ আলাদা হতে চায় তার সমস্ত দায়িত্ব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একই সঙ্গে তিনি প্রশ্ন তোলেন, গত ৭৫ বছর ধরে দেশ স্বাধীন হওয়ার পর উত্তরবঙ্গের উন্নয়ন হয়নি। কেন এখানকার মানুষকে চিকিৎসা, শিক্ষা, চাকরি, স্বাস্থ্য ইত্যাদির জন্য বাইরে যেতে হবে। কেন হাসপাতাল, ভাল, স্কুল নেই? কেন কল কারখানা, জীবিকার ব্যবস্থা নেই? জঙ্গলমহলেও সেই অবস্থা। মা, বোনেরা শালপাতা, কেন্দুপাতা নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। কেন তাঁদের চাকরির জন্য রাঁচি, ওডিশা, গুজরাতে যেতে হচ্ছে? এই দেশের স্বাধীনতা, উন্নয়নের লাভ পাওয়ার অধিকার নেই তাঁদের? তাই তাঁরা যদি এই দাবি তুলে থাকেন তা হলে সেটা নাজায়েজ নয়।শনিবার বিজেপি-র উত্তরবঙ্গে বার্লার শহিদ সম্মান যাত্রা কর্মসূচিতে যোগ দেন দিলীপ। ওই কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে দিলীপ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, জন বার্লা এক জন জনপ্রতিনিধি। যাঁরা তাঁকে জিতিয়েছেন তাঁদের কথা শোনাটা তাঁর দায়িত্ব। তিনি তাই বলেছেন। সেই সঙ্গে পাহাড়ে আলাদা রাজ্যের দাবি প্রসঙ্গে দিলীপ মমতার নাম না করেও খোঁচা দেন। বলেন, উনি তো গোর্খাল্যান্ডের দাবিকে জিইয়ে রেখে জিটিএ-তে সই করেছিলেন। তখন প্রশ্ন ওঠেনি? যখন লোকের আওয়াজকে আমরা তুলে ধরেছি, তখন আমরা বিচ্ছিন্নতাবাদী হয়ে গেলাম?

আগস্ট ২১, ২০২১
রাজ্য

GTA-Dhankhar: জিটিএ-র দুর্নীতি বিচারে অডিট করাবেন রাজ্যপাল

সাতদিনের উত্তরবঙ্গ সফর শেষে জিটিএ-তে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar)। সোমবার বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেওয়ার আগে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তাঁর বক্তব্য, দীর্ঘ কয়েকবছর ধরে গোর্খা টেরিটোরিয়াল অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে (GTA) অডিট হয়নি। তিনি ক্যাগ (CAG)-কে দিয়ে অডিট করাতে চান। তাহলেই স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। পাশাপাশি তাঁর আরও অভিযোগ, জিটিএ যে উদ্দেশে তৈরি হয়েছিল, তা পূরণ হয়নি। বছরের পর বছর ধরে পাহাড়বাসীর কোনও উন্নয়ন করে জিটিএ।২০১৭ সালে পাহাড়ের তৎকালীন প্রতাপশালী নেতা মোর্চার বিমল গুরুংয়ের আবেদন মেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিটিএ তৈরির অনুমোদন করেন। মূলত পাহাড়বাসীর উন্নয়নের লক্ষ্যেই এই সিদ্ধান্ত। জিটিএ-তে কে কোন দায়িত্ব পালন করবেন, তাও মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শক্রমেই ঠিক হয়। এটি একটি স্বশাসিত সংস্থা। অন্যান্য প্রশাসনিক সংগঠনের মতো নির্বাচনের মাধ্যমে জিটিএ-তেও দায়িত্বপ্রাপ্তদের নির্বাচিত করার কথা। কিন্তু ২০১৭ সালের পর থেকে নানা জটিলতার কারণে সেখানে নির্বাচন হয়নি। বিমল গুরুং, বিনয় তামাং হয়ে মোর্চা নেতা অনীত থাপা নানা সময়ে সামলেছেন জিটিএ চেয়ারম্যানের দায়িত্ব। তবে এই মুহূর্তে সেখানে কাজ করছে প্রশাসক বোর্ড।আরও পড়ুনঃ করোনা ফাঁড়া কাটিয়ে ডব্লুউবিসিএস-সহ তিনটি পরীক্ষার নির্ঘণ্ট ঘোষণাতারই মধ্যে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় ৭ দিনের জন্য উত্তরবঙ্গ (North Bengal) সফরে গিয়েছিলেন। দার্জিলিংয়ের রাজভবনে থাকাকালীন তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন সেখানকার রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা। রাজ্যপালের দাবি, তাঁদের সকলের সঙ্গে কথা বলে তিনি একটা বিষয় সম্পর্কে নিশ্চিত যে পাহাড়ে এই কবছরে কোনও উন্নয়ন হয়নি। জিটিএ তৈরি হয়েছিল যে উদ্দেশে অর্থাৎ পাহাড়বাসীর উন্নয়নের জন্য, তা সফল হয়নি। না নির্বাচন, না অডিট কিছুই হয়নি জিটিএতে। তাই তিনি নিজে CAG-কে দিয়ে অডিট করাতে চান। তাঁর এই বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন শিলিগুড়ির কার্যালয় বৈঠকের পর তিনি বলেন, এই দাবি যুক্তিপূর্ণ। অবশ্যই জিটিএ-র অডিট হওয়া উচিত। কেন্দ্রীয় সরকার প্রতি বছর উন্নয়নের জন্য টাকা পাঠায়। কিন্তু রাজ্য সরকারের কর্মী, আধিকারিকরা তা নয়ছয় করেন আর উন্নয়নের কাজ হয় না কিছুই।এদিকে, জিটিএ-র কোষাগার নিয়ে রাজ্যপালের এই দুর্নীতির অভিযোগ মানতে নারাজ প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা মোর্চা নেতা অনীত থাপা। তাঁর দাবি, প্রতি বছর অডিট হয়েছে। পাহাড়ে অনেক উন্নয়নের কাজ করেছি আমরা। উনি অডিট করাতে চাইলে করান, আমাদের কোনও অসুবিধা নেই। সব হিসেব পেয়ে যাবেন।

জুন ২৮, ২০২১
রাজ্য

Covid-19 Vaccine: ভ্যাকসিন কাণ্ডে তৃণমূলকে তোপ দিলীপের

তিনদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে এসে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ কলকাতা পুরসভার ভ্যাকসিন-কাণ্ডে শাসক দলের জড়িত থাকার বিষয়ে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন। শনিবার কলকাতা থেকে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামেন তিনি। সেখান থেকে তাঁর সোজা কোচবিহারের তিনবিঘা করিডর এলাকায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার কথা।ফেক ভ্যাকসিন নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। এক বছর ধরে ভুয়ো আইএএস দেবাঞ্জন দেব কোভিড সংক্রান্ত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে হাজির থেকেছেন। তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে এক মঞ্চে তাঁকে দেখা গিয়েছে। এই নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে সর্বত্র। দিলীপ ঘোষ বলেন, তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা ফেক ভ্যাকসিনকাণ্ডে যুক্ত। কলকাতা পুরসভাও যুক্ত। অভিযুক্ত দেবাঞ্জন দেবকে তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীদের সঙ্গে এক মঞ্চে আলোচনা করতে দেখা গিয়েছে ছবিতে। কী করে নেতারা বলছে তাঁকে চেনে না?আগামী পুরসভা নির্বাচন নিয়ে বিজেপি তৎপর হয়ে উঠেছে। শনিবার এনজেপিতে ট্রেন থেকে নেমে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সভাপতি জানান, উত্তরবঙ্গে পাঁচ জেলার কর্মসূচিতে অংশগ্রহহ করে আগামী পুরসভা নির্বাচনে ও দলের আগামী দিনের রনকৌশল ঠিক করা হবে। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা হবে।রাজ্যে দলত্যাগ নিয়ে জল্পনা অব্যাহত আছে। বিধানসভা নির্বাচনে বিজয়ী বিধায়কদের দল পরিবর্তন নিয়ে জল্পনার প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ জানান, যাঁরা যাওয়ার তাঁরা চলে গিয়েছে, কাজের লোক যাঁরা আছেন তাঁরা বিজেপি ছাড়বেন না। মুকুল রায় বিজেপি থেকে তৃণমূলে এসেই জানিয়েছিলেন বহু বিজেপি বিধায়ক ও সাংসদ দল ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দেবেন। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও ঘোষণা করেছন বিজেপির নেতা-নেত্রীরা দলে আসার জন্য পা বাড়িয়ে আছেন।

জুন ২৬, ২০২১
রাজ্য

নন্দীগ্রামে ভোটপর্ব মিটতেই উত্তরবঙ্গের প্রচারে যাচ্ছেন মমতা

নন্দীগ্রামে ভোটপর্ব মিটতেই উত্তরবঙ্গে প্রচারে যাচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রামের ভোট শেষ হলেও কলকাতায় ফিরছেন না তিনি। বরং রাতটুকু নন্দীগ্রামে কাটিয়ে শুক্রবার সকালে কলকাতা ছুঁয়ে দমদম বিমানবন্দর থেকে উত্তরবঙ্গ রওনা হবেন প্রচারে জন্য।উত্তরবঙ্গের ২ জেলায় ৩টি জনসভা রয়েছে তাঁর। মূলত কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলায় তিনটি জনসভা হবে। এই তিনটি জনসভা থেকে উত্তরবঙ্গের ১৪টি আসনের জন্য ভোট প্রচার সারবেন। আগামী ১০ এপ্রিল রাজ্যে চতুর্থ দফার নির্বাচন। সেই দফায় মোট ৪৪টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। যাঁর মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলির সঙ্গেই উত্তরবঙ্গের কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার জেলাতেও ভোট হবে। সেই ভোটের প্রচারেই মমতা যাচ্ছেন উত্তরবঙ্গে। দুটি জেলায় ৩টি জনসভার কর্মসূচি মাধ্যমে ১৪টি বিধানসভার ভোট তৃণমূল শিবিরের দিকে টানাই লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রীর। কারণ, এই ১৪টি আসনের মধ্যে লোকসভার নিরিখে ১২টিতেই এগিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির। শুক্রবার দুপুরে দিনহাটায় তৃণমূল প্রার্থী উদয়ন গুহ-র সমর্থনে দিনহাটা টাউনে সংহতি ময়দানে সভা করবেন। তারপরে তুফানগঞ্জ এসএমএ মাঠে তুফানগঞ্জের তৃণমূল প্রার্থী প্রণব কুমার দে-র সমর্থনে জনসভা হবে মমতার। এরপর ফালাকাটায় টাউন ক্লাবের মাঠে প্রার্থী সুভাষ রায়ের সমর্থনে সভা রয়েছে তাঁর।

এপ্রিল ০২, ২০২১
রাজনীতি

উত্তরবঙ্গে ভোটের প্রচারে মমতা

শুক্রবার দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণার পরদিনই আজ উত্তরবঙ্গের উদ্দেশে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার শিলিগুড়ি শহরেই তাঁর এক রাজনৈতিক কর্মসূচি রয়েছে। কালীঘাটের সাংবাদিক সম্মেলনে তৃণমূল নেত্রী জানিয়েছেন, সিলিন্ডারের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ওই দিন শিলিগুড়ি শহরে সিলিন্ডার নিয়ে মিছিল করবেন তিনি। মহিলা তৃণমূলের উদ্যোগে এই মিছিল হবে শিলিগুড়ির প্রাণকেন্দ্রে। নির্বাচন ঘোষণার পর আর কোনও রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেননি মমতা। কিন্তু এখন নির্বাচনী নির্ঘণ্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে দলীয় প্রার্থীদের নামও প্রকাশ্যে এনেছেন তিনি। অনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনের প্রচার শিলিগুড়ি থেকে শুরু করছেন মমতা। সূত্রের খবর, শিলিগুড়ির মিছিলে তাঁর সঙ্গে থাকবেন এই কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অধ্যাপক ওমপ্রকাশ মিশ্র। মুখ্যমন্ত্রী শিলিগুড়িতে এই কর্মসূচি করলেও, রাজ্য জুড়ে তৃণমূল কর্মীদের সিলিন্ডার মিছিল করতে নির্দেশ দিয়েছেন।ঘটনাচক্রে রবিবারই বিজেপির ব্রিগেড সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে হাজির থাকবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ব্রিগেড সমাবেশ দিয়েই বিজেপি এ রাজ্যে নিজেদের ভোটপ্রচার শুরু করতে চায়। সেই সমাবেশ থেকে প্রধানমন্ত্রী যে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকেই আক্রমণ করবেন, সে ব্যাপারে নিশ্চিত তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই রবিবার উত্তরবঙ্গে গিয়ে নির্বাচনী প্রচারের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর আক্রমণের জবাব দেবেন মমতা। সোমবার সকালেই বিমানে কলকাতায় ফিরবেন তিনি। কলকাতায় নেমেই আরও একটি রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার কথা তাঁর। আন্তর্জাতিক মহিলা দিবস উপলক্ষে ভবানীপুর থেকে যাদবপুর পর্যন্ত একটি মিছিলে হাঁটবেন। এই মিছিল আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মহিলা তৃণমূল নেতৃত্বকেই। রবিবার কলকাতায় প্রধানমন্ত্রী যে সমস্ত অভিযোগ করবেন রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে, তার জবাব মিছিলের শেষে দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। এ ছাড়া আরও একটি তাৎপর্য রয়েছে এই মিছিলের। এ বার তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন এক ঝাঁক মহিলা বিধায়ক। বাদ পড়া সেই সমস্ত মহিলা বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর মিছিলে আসেন কি না সে দিকে নজর থাকবে রাজনীতির কারবারিদের।

মার্চ ০৬, ২০২১
  • ‹
  • 1
  • 2
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

১৪ বছর পর কলকাতায় মেসি! “মাঠ কাঁপাবে” ডিসেম্বরে?

কলকাতার ফুটবলপ্রেমীদের জন্য এক বিশাল সুখবর! ফুটবল কিংবদন্তি লিওনেল মেসি (Lionel Messi) তাঁর বহু প্রতীক্ষিত GOAT Tour of India 2025-এর জন্য এ বছরের ডিসেম্বর মাসে কলকাতা ময়দান মাতাতে আসছেন। ১৪ বছর পর বিশ্বকাপজয়ী এই মহাতারকার ভারতে ফেরা নিঃসন্দেহে এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হতে চলেছে।আগামী ডিসেম্বরে আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি তাঁর ভারত সফরের সূচনা করবেন কলকাতাতেই। আয়োজকদের ঘোষণা অনুযায়ী, তিনি ১২ই ডিসেম্বর রাতে মহানগরে পৌঁছাবেন এবং ১৩ই ডিসেম্বর কলকাতায় বিভিন্ন কর্মসূচিতে অংশ নেবেন।কলকাতার আইকনিক সল্টলেক স্টেডিয়ামে (যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন) মূল অনুষ্ঠানগুলি হবে, যেখানে ২০১১ সালে মেসি আর্জেন্টিনার হয়ে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচে খেলেছিলেন।GOAT কনসার্ট এবং GOAT কাপ, ১৩ই ডিসেম্বর এই দুটি প্রধান ইভেন্ট অনুষ্ঠিত হবে। GOAT কাপ হবে একটি সেলিব্রেটর সেভেন-এ-সাইড (seven-a-side) সফট-টাচ ফুটবল ম্যাচ। বেশ কয়েকজন ভারতীয় কিংবদন্তির উপস্থিতির সম্ভবনা ওই খেলায়, সুত্রের খবর, এই বিশেষ ম্যাচে মেসির সঙ্গে মাঠে নামতে পারেন ভারতীয় ক্রীড়া জগতের তারকারা, যেমন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, বাইচুং ভুটিয়া এবং লিয়েন্ডার পেজ প্রমুখ।ম্যচের শেষে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে মেসিকে বিশেষ সংবর্ধনা দেওয়া হতে পারে। এছাড়াও এই সফরের অঙ্গ হিসাবে কলকাতা শহরে মেসির একটি মূর্তি উন্মোচন-র আয়োজন চলছে।এই সফরে নানাবিধ অনুষ্ঠানের মধ্যে, ফুড অ্যান্ড টি ফেস্টিভ্যালঅনুষ্ঠিত হবে। কলকাতায় তাঁর প্রিয় পানীয় আর্জেন্তিনীয় ভেষজ চা মাটে-এর সঙ্গে আসামের চায়ের ফিউশন করে একটি বিশেষ খাদ্য ও চা উৎসবের আয়োজন করা হবে।কলকাতা ছাড়াও মেসি ভারতে আরও কয়েকটি শহর সফর করবেন, সেকারনে তাঁর নিরাপত্তা ব্যবস্থাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কলকাতার পর মেসি আরও চারটি-শহরে সফর করবেন। যেগুলি হল আহমেদাবাদ, মুম্বাই এবং নয়া দিল্লী। ১৫ই ডিসেম্বর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে তাঁর ভারত সফর শেষ করবেন। এই সফরের ইভেন্টগুলোর টিকিটের মূল্য ৩,৫০০ টাকা থেকে শুরু হতে পারে বলে জানা গেছে।মেসির প্রতিক্রিয়াদীর্ঘ ১৪ বছর পর ভারতে আসা নিয়ে মেসি উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন। একটি সরকারি বিবৃতিতে তিনি বলেন, এই সফর করতে পারা আমার জন্য খুবই সম্মানের। ভারত খুব স্পেশাল একটি দেশ, এবং ১৪ বছর আগে আমার সেখানে কাটানো মুহূর্তগুলোর খুব ভালো স্মৃতি আছে এখানকার ভক্তরা ছিল অসাধারণ। ভারত ফুটবল প্রেমী দেশ (passionate football nation), এবং আমি ফুটবলের প্রতি আমার ভালোবাসা নতুন প্রজন্মের ভক্তদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য মুখিয়ে আছি।২০২৫ এর ডিসেম্বর মাসে ফুটবল কিংবদন্তির আগমন শুধু কলকাতার নয়, গোটা ভারতের ক্রীড়াপ্রেমীদের কাছে এক বিশাল উৎসবের বার্তা নিয়ে আসছে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

সাংসদের ওপর হামলায় রাজ্যকে নিয়ে বড় প্রশ্ন মোদির, কড়া জবাব মমতার

বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলা নিয়ে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তার পাল্টা কড়া জবাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি সোশ্যাল মিডিয়া লিখেছেন, এটা খুবই দুর্ভাগ্যের এবং গভীর উদ্বেগের বিষয় যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী একটি প্রাকৃতিক বিপর্যয় নিয়ে রাজনীতি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, কোনো উপযুক্ত অনুসন্ধানের জন্য অপেক্ষা না করেই তা-ও আবার যখন উত্তরবঙ্গের মানুষ ভয়াবহ বন্যা ও ধসের সঙ্গে যুঝছেন।যখন সমগ্র স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ ত্রাণ ও উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত হয়ে আছে, তখন বিজেপি নেতারা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন বিপুল সংখ্যক গাড়ির কনভয় নিয়ে, কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা নিয়ে এবং স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসনকে কোনো খবর না দিয়ে। রাজ্য প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ বা তৃণমূল কংগ্রেসকে কীভাবে এই ঘটনার জন্য দায়ী করা যাবে?এখানেই থামেননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশ্ন তুলেছেন প্রধানমন্ত্রী পদের গরিমা নিয়েও। প্রশ্ন তুলেছেন মোদির নৈতিকতা নিয়েও। তাছাড়া কোনও প্রমান ছাড়াই প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেসকে দায়ী করেছে বলে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী তৃণমূল কংগ্রেস এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ওপর দোষারোপ করেছেন কিছুমাত্র প্রমাণ ছাড়া, আইনানুগ কোনো তদন্ত ছাড়া এবং কোনো প্রশাসনিক রিপোর্ট ছাড়া। এটা শুধু রাজনৈতিক নিম্নতা স্পর্শ করল না, যে সাংবিধানিক নৈতিকতা তুলে ধরতে প্রধানমন্ত্রী শপথ নিয়েছেন, সেই নৈতিকতারও লঙ্ঘন হল। যে কোনো গণতন্ত্রে আইন তার নিজস্ব পথ নেয় এবং কোনো ঘটনার দায় নির্ধারিত হয় যথাযথ প্রক্রিয়ায় -কোনো রাজনৈতিক বেদীর উচ্চতা থেকে করা একটি ট্যুইটের মাধ্যমে নয়।উত্তরবঙ্গ কাল যাবো, আজ কার্নিভাল !!!কার্নিভাল নাকি বাংলার ঐতিহ্য ! তা দশমীর চার দিন পর সরকারি অনুদান আর প্রশাসনিক চোখ রাঙানির জেরে প্রতিমা নিরঞ্জন আটকে রেখে, মিছিল করিয়ে ঘাটে যাওয়া কবে থেকে বাংলার ঐতিহ্য হয়ে গেলো?আর মুখ্যমন্ত্রী চটজলদি উত্তরবঙ্গ যেতে আগ্রহী নন কেন, pic.twitter.com/mD0TeqWIaz Suvendu Adhikari (@SuvenduWB) October 5, 2025মমতা বলেছেন, সংশ্লিষ্ট ঘটনা ঘটেছিল একটি কেন্দ্রে, যেখানে মানুষ নিজেরাই বিজেপির একজন বিধায়ককে নির্বাচন করেছেন। তথাপি এই ঘটনায় তৃণমূল কংগ্রেসের তথাকথিত শক্তিমত্তা দেখায় প্রধানমন্ত্রী দ্বিচারিতা অনুভব করলেন না। এই ধরনের অসার এবং অতি-সরলীকৃত সাধারণীকরণ শুধু অপরিণতই নয়, তা দেশের সর্বোচ্চ পদের সঙ্গে মানানসইও নয়।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫
রাজ্য

বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের ওপর হামলা, নিন্দা নরেন্দ্র মোদীর, ফোন রাজনাথ সিংয়ের

বন্যা ও ভমি ধ্বসে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। এরই মধ্যে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি দেখতে গিয়েছিলেন মালদা উত্তরের সাংসদ খগেন মুর্মু ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। তাঁদের ওপর তৃণমূল কংগ্রেস প্রাণঘাতী হমলা করেছে বলে অভিযোগ। মাথা ফেটে রক্তাক্ত হয়েছেন খগেন মুর্মু। আঘাত পেয়েছেন শঙ্কর ঘোষ। যদিও তৃণমূল অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার এই ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। জখম সাংসদের সঙ্গে কথা বলেছেন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।প্রধানমন্ত্রী পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। আক্রমণের তীব্র নিন্দা করেছেন। নরেন্দ্র মোদী এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।যেভাবে আমাদের দলের সহকর্মীরাযাদের মধ্যে একজন বর্তমান সাংসদ ও বিধায়কও রয়েছেনপশ্চিমবঙ্গে বন্যা ও ভূমিধসে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সেবা করতে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছেন, তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। এটি তৃণমূল কংগ্রেসের অসংবেদনশীলতা এবং রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলার করুণ রূপের স্পষ্ট প্রতিফলন।আমার Narendra Modi (@narendramodi) October 6, 2025আমার একান্ত কামনা পশ্চিমবঙ্গ সরকার ও তৃণমূল কংগ্রেস এই কঠিন পরিস্থিতিতে হিংসায় লিপ্ত না হয়ে মানুষের সাহায্যে আরও মনোযোগী হোক। আমি বিজেপি কার্যকর্তাদের আহ্বান জানাই, তারা যেন জনগণের পাশে থেকে চলতি উদ্ধার কাজে সহায়তা করে যান।এদিকে নাগরাকাটায় বন্যা পরিস্থিতি পরিদর্শনে গিয়ে সাংসদ খগেন মুর্মু ও বিধায়ক শঙ্কর ঘোষের ওপর হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংজি। রাজ্য বিজেপি সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এক্স হ্যান্ডেলে বলেছেন, তিনি টেলিফোনে আমার সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বিস্তারিত জানতে চান এবং স্পষ্ট বার্তা দেন রাজনীতিতে হিংসার কোনো স্থান নেই। পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই অন্যায় ও অত্যাচার কখনো মেনে নেবে না। সবাই মিলে এই হিংসার রাজনীতি প্রতিহত করতে হবে। বাংলার মানুষ গণতন্ত্রের শক্তিতে বিশ্বাস রাখে।

অক্টোবর ০৭, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal